কলকাতার পাতালে [জানুয়ারী ২০১২, স্মৃতি পাবলিশার্স] : সাল ২০৪০, শহর কলকাতা। ইতিহাসের এক ধ্বংসাত্মক মোড় এই আধুনিক নগরীকে করে তুলেছে ভারতের সামরিক প্রাণকেন্দ্র। সরকারী সেন্সরশিপ এবং সেনাবাহিনীর কড়া নজর এখানে সর্বদা সক্রিয়। এরই মাঝে একদিন হঠাৎ করে পঁয়ত্রিশজন লোক উধাও হয়ে যায় শহরের বুক থেকে... কোনও চিহ্ন না রেখেই। রহস্যের জট ছাড়াতে গিয়ে দুই সি আই ডি অফিসার পড়ে আরও বড় রহস্যের মুখে। এ কি অপহরণ না কোনও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত? একটি জনপ্রিয় স্মার্টফোনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক আছে কি? এক রহস্যময় আন্ডারগ্রাউন্ড গোষ্ঠী এ ব্যাপারে কি খবর রাখে? আর উধাও হওয়া লোকগুলোকে পাওয়া যাবে কোথায়, কিভাবে? কে অপরাধী তার সন্ধানে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পারে যে, দুনিয়াটা সব সময় সাদা কালোয় ভাগ করলে চলে না; মাঝে মধ্যে গিয়ে পড়তে হয় ঠিক আর ভুলের মাঝামাঝি বিচরণ করা এক ধূসর জগতে।
[ পড়ে দেখুন : কলকাতার পাতালে, প্রথম দুটি পরিচ্ছেদ ]
ড্রিম ফ্লাইযার [ মে ২০১০, পান্ডুলিপি ] : আমাদের সকলেরই একটা
কল্পনার জগৎ আছে। বাইরের মরচে পড়া রুঢ় একঘেয়ে বাস্তবতাকে এই স্বপ্নজগৎ
প্রতিফলিত করে দৃষ্টিকোণের রং লাগিয়ে, প্রতীক সংকেতের সূক্ষ্ম আঁচড় কেটে। এই
স্বপ্ন দুনিয়ার সব যে ভাল তা কিন্তু নয়। তবে নিজেকে চেনার আয়না এর
চেয়ে ভাল আর হয় না। আর এই দুনিয়ায় ক্ষণিকের জন্য বাস্তবতাকে ছুঁয়ে
ফেলতে চায় আমাদের স্বপ্ন। তবে স্বপ্নের আয়ু কম। কয়েক মিনিটেই ঘোর কেটে
গিয়ে আমরা ফিরে আসি বাস্তবে। কিন্তু কেমন হয় যদি স্বপ্ন হয়ে ওঠে স্থায়ী আর বাস্তবের
মতই স্পষ্ট ও বিস্তারিত? স্বপ্নদর্শীর তখন আর কোনও উপায় থাকে না।
তাকে পথ চলতে হয় এমন এক বিশ্বে যার প্রতিটি রাস্তার বাঁক আসলে তার নিজেরই মনের জট। এই
নিয়েই কল্পবিজ্ঞান কিশোর উপন্যাস “ড্রিম ফ্লাইয়ার”।